বিতর্কিতদের অপসারণ দাবি – অন্তর্বর্তী পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন নিয়ে রাঙামাটিতে জনমনে ছড়িয়ে পড়ছে ক্ষোভ। সদস্য পদ থেকে বিতর্কিত লোকজনকে অপসারণের দাবি জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একদল নেতাকর্মী পুনর্গঠিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের প্রবেশে বাধা দেন।
বিতর্কিতদের অপসারণ দাবি তে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ
রোববার পার্বত্য জেলা পরিষদের মূল গেটে তালা দিয়ে তারা বিক্ষোভ করেন। এতে প্রথম কার্যদিবসে অফিসে প্রবেশে বাধার মুখে পড়েন পুনর্গঠিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার । অভিযোগ-আওয়ামী লীগ ঘরানা ও তাদের সুবিধাভোগী দোসর এবং পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার নিজস্ব লোক দিয়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও বৈষম্যের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। সুপ্রদীপ চাকমা নিজেও আওয়ামী লীগের দোসর।

এ ধরনের কর্মকাণ্ড মানুষ কখনো মেনে নেবে না। অবিলম্বে বিতর্কিত লোকজনকে পুনর্গঠিত জেলা পরিষদ থেকে অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় তীব্র ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দাবি আদায়ে বাধ্য করা হবে। ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপনে গঠিত পার্বত্য জেলা পরিষদ বাতিল করে ৭ নভেম্বর রাঙামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। অবসরপ্রাপ্ত জেলা কৃষি কর্মকর্তা কাজল তালুকদারকে চেয়ারম্যান করে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করা হয়।
চেয়ারম্যান কাজল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি দীপংকর তালুকদারের আত্মীয় বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আইনে প্রতি উপজেলা থেকে প্রতিনিধি নিয়ে পরিষদ গঠনের কথা বলা হলেও জেলার বরকল, জুরাছড়ি, রাজস্থলী ও কাউখালী উপজেলার কাউকে নেওয়া হয়নি। বিপরীতে চেয়ারম্যানসহ ১৫ সদস্যের মধ্যে ৯ জনই রাঙামাটি সদর উপজেলার বাসিন্দা। নারী সদস্যরা আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী এবং পার্বত্য উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। বেলা ১১টার দিকে জেলা পরিষদের প্রধান গেট বন্ধ করে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার গাড়ি বাইরে রেখে ভিন্ন পথে অফিসে ঢোকেন। পরে পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। বিক্ষোভ চলাকালে বক্তব্য দেন রাঙামাটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতা রাকিব, সাজিদ হোসেন, মোস্তফা কামাল রাজু, আবু আবরার আলভি, তুহিন হাসান, ইমাম হাসান, সাইদা ইসলাম, তানভি আক্তার প্রমুখ।
আরও দেখুনঃ