রাঙামাটিতে ঘূর্ণিঝড়ে ভূমিধসের আশঙ্কা থাকায় পাহাড়ীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ

রাঙামাটিতে শনিবার (১৩ মে) বিকালে জেলা প্রশাসনের একটি টিম শহরের রূপনগর, শিমুলতলী নতুন পাড়া, লোক মন্দির এলাকা, বিএম ইনস্টিটিউট এলাকা পরিদর্শন করেন।বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হলেই পাহাড়ে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। প্রবল বৃষ্টিতে ভূমিধসের আশঙ্কা থাকায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

 

রাঙামাটিতে ঘূর্ণিঝড়ে ভূমিধসের আশঙ্কা থাকায় পাহাড়ীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ

 

রাঙামাটিতে ঘূর্ণিঝড়ে ভূমিধসের আশঙ্কা থাকায় পাহাড়ীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ

আসন্ন ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে অতি বর্ষণ হলে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। চালু করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাঙ্গামাটি পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ২৯টি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ২২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। একই সঙ্গে উপজেলা পর্যায়েও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।দুপুরের পর থেকে জেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও তথ্য অফিস থেকে সর্তকতা মূলক মাইকিং করা হচ্ছে।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

ওই টিমে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুলহ আল মাহমুদ, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, কোতোয়ালি থানার ওসি আরিফুল আমিনসহ জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা।

রূপনগর এলাকার বাসিন্দা মিঠু বলেন, আমরা জেলা প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী বৃষ্টি শুরু হলে দ্রুত নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্র চলে যাবো। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি ভালো আছে। তাই বাড়িতে থাকবো। বৃষ্টি শুরু হলে আমরা কেউ
বাড়িতে থাকবো না।

রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে পাহাড় ধসের শঙ্কা থাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সেরে যেতে বলেছি। তাও কেউ যদি না সরে তাহলে আমরা তাদের বাধ্য করবো। নারী ও শিশুদের আগে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসতে বলেছি।

 

রাঙামাটিতে ঘূর্ণিঝড়ে ভূমিধসের আশঙ্কা থাকায় পাহাড়ীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ

 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ভারী বর্ষণ হলে পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড় ধসের আশঙ্কা আছে। তাই আমরা সবাই সর্তক আছি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত আছে এবং কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। বিকেলে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হবে।

এদিকে সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ বিকাল ৪টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।

আরও দেখুনঃ

2 thoughts on “রাঙামাটিতে ঘূর্ণিঝড়ে ভূমিধসের আশঙ্কা থাকায় পাহাড়ীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ”

Leave a Comment