আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় রাঙ্গামাটি জেলার বৃহৎ প্রকল্প, রাঙ্গামাটি জেলা বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত । রাঙ্গামাটি একটি পর্যটন গন্তব্য কারণ এটির প্রাকৃতিক দৃশ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, হ্রদ,উদ্ভিদ এবং প্রাণীজগৎ, দেশীয় যাদুঘর, ঝুলন্ত সেতু ইত্যাদি রয়েছে।

Table of Contents
রাঙ্গামাটি জেলার বৃহৎ প্রকল্প:
প্রকল্পের নাম : পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প(২য় পর্যায়):
|
|
প্রকল্পের নাম
|
পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প (২য় পর্যায়) |
|
|
প্রকল্প পরিচালকের নাম
ই-মেইল |
মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ, উপসচিব
mi@chtdb.gov.bd |
|
|
বাস্তবায়নকারী সংস্থা | পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড |
|
|
প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল | জুলাই ২০২০ হতে জুন ২০২৩ |
|
|
প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য | উদ্দেশ্য:
ক) পার্বত্য জেলার যেসব প্রত্যন্ত অঞ্চলকে আগামী ২০-২৫ বছরের মধ্যে জাতীয় গ্রীডে যুক্ত করা সম্ভব নয়, সোলার ফটোভোল্টাইক সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে সেসব এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা। খ) পার্বত্য এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসরত দরিদ্র জনসাধারনের জীবন-যাত্রার মান উন্নয়নের জন্য বিনামূল্যে সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ। গ) উক্ত অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় স্থাপিত পাড়া কেন্দ্র সমূহে বিদ্যুৎ সরবরাহকরণ। ঘ) উক্ত অঞ্চলের দূর্গম এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্থাপিত স্টুডেন্ট হোস্টেল/ অনাথ আশ্রম/ এতিমখানা ও কমিউনিটি সেন্টার সমূহে বিদ্যুৎ সরবরাহকরণ। ঙ) নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃ্দ্ধি। লক্ষ্যমাত্রা: ক) ৪০,০০০ টি বাড়িতে ১০০ ওয়াট পিক ক্ষমতা সম্পন্ন সোলার হোম সিস্টেম সরবরাহ ও স্থাপন। খ) ২,৫০০ টি পাড়া কেন্দ্র/ স্টুডেন্ট হোস্টেল/ অনাথ আশ্রম/ এতিমখানা ও কমিউনিটি সেন্টারে ৩২০ ওয়াট-পিক সোলার কমিউনিটি সিস্টেম সরবরাহ ও স্থাপন। গ) ৪২,৫০০ জন উপকারভোগীকে সোলার ফটোভোল্টাইক সিস্টেম সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদান। |
|
|
প্রকল্প এলাকা | তিন পার্বত্য জেলার সকল উপজেলা |
|
|
প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা | গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করার জন্য সম্ভাব্য সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে দারিদ্র কমানোর লক্ষ্যে নির্ধারণ করেছে।
স্থিতিশীল ও নিরাপদ বিদ্যুৎ সরবরাহ দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে যা দারিদ্রতা কমাতে পারে। এ জন্য সরকার স্থিতিশীল বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং পরিবেশ সুরক্ষা করার জন্য ‘‘পাওয়ার সেক্টর মাস্টারর প্ল্যান (PSMP) ২০১৬” প্রণয়ন করেছে। আলোচ্য প্রকল্পটি বিদ্যুৎ খাতে সরকারের লক্ষ্য ‘‘২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ” এর চাহিদা পূরণের জন্য নেওয়া একটি পদক্ষেপ।
রাঙ্গামাটি, বান্দরবন এবং খাগড়াছড়ি এই তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মোট আয়তন ১৩,২৯৫ বর্গকিলোমিটার। খাড়া পাহাড় এবং সরু উপত্যকা সমন্বয়ে গঠিত হওয়ায় উক্ত এলাকাসমূহ অত্যন্ত দূর্গম। উক্ত অঞ্চলসমূহের তিন চর্তুথাংশ জায়গা জুড়ে বির্স্তীণ বনভূমি, পর্বতমালা এবং উপত্যকা রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের মোট আয়তনের মাত্র ৫ শতাংশ চাষ উপযোগী সমতল ভূমি রয়েছে। এখানকার চিরাচরিত কৃষিজ অর্থনীতি জুম চাষের উপর নির্ভরশীল। পাহাড়ি ভূখন্ড হওয়ায় এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা দূর্গম এবং সময়সাপেক্ষ। একারণে দেশের অন্যান্য অংশের তুলনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দূর্গম এলাকাগুলো এখনও আধুনিকীকরণ হতে পিছিয়ে আছে।
বর্তমানে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য বিদ্যুৎ অপরিহার্য্য। কিন্তু তিন পার্বত্য জেলার অনেক স্থানই দূর্গম পাহাড়ি ভূখন্ড হওয়ায় এখানে জাতীয় গ্রীড সংযোগ দেওয়া প্রায় অসম্ভব। একারণে এসব এলাকায় বিদ্যুৎতায়ন করার সবচেয়ে ভাই উপায় হলো গ্রীড বর্হিভূত সোলার ফটোভোল্টাইক হোম ও কমিউনিটি সিস্টেম, যা বিশ্বস্ত, পরিচ্ছন্ন এবং পরিবেশবান্ধব। বাংলাদেশে ২০০৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর নবায়নযোগ্য শক্তি নীতি অনুমোদিত হয়। বিষয়গুলি বিবেচনা করতঃ বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে উক্ত প্রকল্পটি গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। উল্লেখ্য দূর্গম পাহাড়ে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর বেশীর ভাগই জুম চাষ এর উপর নির্ভরশীল এবং আর্থিক ভাবে খুবই অসচ্ছল। তাই স্রেডা কর্তৃক গঠিত কমিটি সরকারের ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নের স্বার্থে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে চলমান পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প এবং টিআর/কাবিটা কর্মসূচির ন্যায় এসব এলাকায় স্থাপিতব্য সোলার হোম/কমিউনিটি সিস্টেম সমূহ বিনামূল্যে স্বত্তাধিকার মর্যাদায় দেয়ার সুপারিশ করে।
‘‘পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ (পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড-এর প্রকল্প)” জুন ২০১৯ তারিখে সমাপ্ত হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ সদ্য সমাপ্ত প্রকল্পটির সমাপ্তি মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ১৯.১ নং সুপারিশে দূর্গম পার্বত্য এলাকার সমগ্র জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনার জন্য সুপারিশ করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ‘‘পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ (২য় পর্যায়)” শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। |

পার্বত্য চট্টগ্রামে তুলা চাষ বৃদ্ধি ও কৃষকদের দ্রারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প
| ০১। | প্রকল্পের নাম | : | পার্বত্য চট্টগ্রামে তুলা চাষ বৃদ্ধি ও কৃষকদের দ্রারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প (কোড নং ২২৪৩১০৪০০০০০০০০) |
| ২। | প্রকল্প পরিচালকের নাম | : | জনাব জসীম উদ্দিন (উপসচিব) |
| ৩। | বাস্তবায়নকারী সংস্থা | : | পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড |
| ৪। | প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল | : | জানুয়ারী’২০২০খ্রিঃ হতে ডিসেম্বর’২০২৪খ্রিঃ |
| ৫। | প্রাক্কলিত ব্যয় | : | ৪৮৪৯.২০ লক্ষ টাকা। |
| ৬। | প্রকল্পের মোট উপকারভোগীর সংখ্যা | ৯৫৪০ বিঘা | |
| ৭। | প্রকল্প এলাকা | : | তিন পার্বত্য জেলার ২৬ উপজেলা |
| ৮। | প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা | : | রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ২৬ টি উপজেলায় “পার্বত্য চট্টগ্রামে তুলা চাষ বৃদ্ধি ও কৃষকদের দ্রারিদ্র্য বিমোচন” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বর্ণিত কার্যক্রমাদি বাস্তবায়নাধীন-
১. প্রদর্শনীঃ ১২০০টি আপল্যান্ড তুলার ব্লক প্রদর্শনী, ১২০০টি আপল্যান্ড তুলার জাত প্রদর্শনী, ১৮০০টি ধান তুলা আন্তঃফসল প্রদর্শনী, ১২০০টি তুলা ভিত্তিক শস্য বিন্যাস প্রদর্শনী, ৩৬০টি উন্নত পদ্ধতিতে জুম চাষ প্রদর্শনী ও ৩০০০টি আপল্যান্ড তুলার তদারকি চাষ প্রদর্শনী ও ৬০টি শিমুল তুলা ও ট্রি কটনের চারা তৈরী ও রোপন পরবর্তী পরিচর্যা স্থাপন করা হবে। ২. আপল্যান্ড ও পাহাড়ী তুলার বীজ উৎপাদনঃ ১৫ বিঘা আপল্যান্ড তুলার মৌল বীজ উৎপাদন, ৫ বিঘা পাহাড়ী তুলার মৌল বীজ উৎপাদন, ৭৫ বিঘা আপল্যান্ড তুলার ভিত্তি মৌল বীজ উৎপাদন, ১০ বিঘা পাহাড়ী তুলার ভিত্তি মৌল বীজ উৎপাদন, ৩৬০ বিঘা আপল্যান্ড তুলার মানঘোষিত বীজ উৎপাদন কার্যক্রম। ৩. কম্পোষ্ট সারঃ নির্বাচিত ও চুক্তিবদ্ধ কৃষকের জমিতে ২৪০টি কেচোঁ সার/ভার্মি কম্পোষ্ট তৈরী ও ৪৮০টি কম্পোষ্ট/কুইক কম্পোষ্ট তৈরী প্রদর্শনী স্থাপন করা হবে। |
| ৯। | প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য | : | প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যঃ
পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলাসমূহের কৃষকদের আয় বৃদ্ধি ও টেকসই কৃষি ব্যবস্থা প্রবর্তনে আপল্যান্ড তুলার চাষ সম্প্রসারণ। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
|
| ১০। | ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বরাদ্ধ ও ব্যয় (লক্ষ টাকায়) | বরাদ্ধ ২০০.০০ লক্ষ টাকা ও প্রকৃত ব্যয় ১৪৬.৪০ লক্ষ টাকা | |
| ১১। | ২০২১-২০২২ অর্থবছরের গৃহীত কাজের অগ্রগতির বিস্তারিত বিবরণ | ১. আপল্যান্ড তুলার ব্লক প্রদর্শনীঃ রাঙ্গামাটি-১৩টি, খাগড়াছড়ি-১৩টি ও বান্দরবানে-১৪টি সহ মোট ৪০টি ব্লক প্রদর্শনীর বিভিন্ন কৃষিজ উপকরনসমূহ কৃষকদের সরবরাহ করা হয়েছে। বিতরকৃত বীজ বপন করা হয়েছে।
২. আপল্যান্ড তুলার জাত প্রদর্শনীঃ রাঙ্গামাটি-১৩টি, খাগড়াছড়ি-১৩টি ও বান্দরবানে-১৪টি সহ মোট ৪০টি ব্লক প্রদর্শনীর বিভিন্ন কৃষিজ উপকরনসমূহ কৃষকদের সরবরাহ করা হয়েছে। বিতরকৃত বীজ বপন করা হয়েছে। ৩. ধান তুলা আন্তঃফসল প্রদর্শনীঃ রাঙ্গামাটি-১১টি, খাগড়াছড়ি-১১টি ও বান্দরবানে-১২টি সহ মোট ৩৪টি ব্লক প্রদর্শনীর বিভিন্ন কৃষিজ উপকরনসমূহ কৃষকদের সরবরাহ করা হয়েছে। বিতরকৃত বীজ বপন করা হয়েছে। ৪. তুলা ভিত্তিক শস্য বিন্যাস প্রদর্শনীঃ রাঙ্গামাটি-১০টি, খাগড়াছড়ি-১০টি ও বান্দরবানে-১০টি সহ মোট ৩০টি ব্লক প্রদর্শনীর বিভিন্ন কৃষিজ উপকরনসমূহ কৃষকদের সরবরাহ করা হয়েছে। জমি প্রস্তুতের পর বীজ বপন করা হয়েছে। ৫. আপল্যান্ড তুলা তদারকি চাষঃ রাঙ্গামাটি-১৬টি, খাগড়াছড়ি-১৬টি ও বান্দরবানে-১৮টি সহ মোট ৫০টি ব্লক প্রদর্শনীর বিভিন্ন কৃষিজ উপকরনসমূহ কৃষকদের সরবরাহ করা হয়েছে। বিতরণকৃত পর বীজ বপন করা হয়েছে। ৬. কেচোঁ সার/ভার্মি কম্পোষ্টঃ রাঙ্গামাটি-১৬টি, খাগড়াছড়ি-১৬টি ও বান্দরবানে-১৬টি সহ মোট ৪৮টি কেচোঁ সার/ভার্মি কম্পোষ্ট সার প্রস্তুতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ৭. কম্পোষ্ট/কুইক কম্পোষ্টঃ রাঙ্গামাটি-১৬টি, খাগড়াছড়ি-১৬টি ও বান্দরবানে-১৬টি সহ মোট ৪৮টি কম্পোষ্ট/কুইক কম্পোষ্ট সার প্রস্তুতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ৮. সিডিবি সম্প্রসারণ কর্মী প্রশিক্ষণ, অফিস ষ্টাফ প্রশিক্ষণ, চুক্তিবদ্ধ তুলা কৃষক প্রশিক্ষণ, সাধারণ তুলা কৃষক প্রশিক্ষণ, তামাক চাষ প্রতিস্থাপন উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। |

পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্প:
| ক্রঃ নং | বিবরণ | |
| ১ | প্রকল্পের নাম | পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্প (২য় সংশোধিত) |
| ২ | প্রকল্প পরিচালকের নাম | জনাব মোঃ জসীম উদ্দিন
ইমেইল: ssscht18@gmail.com |
| ৩ | বাস্তবায়নকারী সংস্থা | পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড |
| ৪ | প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল | ১ এপ্রিল ২০১৮ হতে ৩০ জুন ২০২৩ |
| ৫ | প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য | লক্ষ্য:
|
| ৬ | প্রকল্পের মোট উপকারভোগী | ২,৪২,০০০ পরিবারের
অনুর্ধ্ব ৫ বছর বয়সী শিশু- ৯৬,৩০০ ৩-৬ বছর বয়সী শিশু- ৫৭,৭১৬ ১০- ১৯ বছর বয়সী কিশোরী- ৭৫,০৩৭, কিশোর-৭৪,৭১৩ অনুর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সী শিশু- ৪,২৫,২৬৬ ১৫-৪৯ বয়সী নারী- ২,৮৯,৬৯৩ |
| ৭ | প্রকল্প এলাকা
ক) উপজেলা খ) ইউনিয়ন |
তিন পার্বত্য জেলার সকল উপজেলা (২৬টি) ও সকল ইউনিয়ন (১২২টি) |
| ৮ | প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা | পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও ইউনিসেফে দীর্ঘ চার দশক যাবৎ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশেষত শিশু ও নারীদের অবস্থার পরিবর্তনে যৌথ উন্নয়ন প্রচেষ্টার অংশীদার। ১৯৮২ হতে ১৯৮৫ সাল মেয়াদে ১১টি মৌজার মাত্র ৩০০০ পরিবারকে আওতাভূক্ত করে অ্যাকশন রিসার্চ কর্মসূচীর মাধ্যমে উক্ত যৌথ উন্নয়ন উদ্যেগের সূচনা।
অ্যাকশন রিসার্চ কর্মসূচীর সফল বাস্তবায়নের প্রেক্ষাপটে পরবর্তীতে তিন পার্বত্য জেলার পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মৌলিক সেবাপ্রবাহে সংযুক্তির পাশাপাশি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে পরবর্তীতে অধিকতর মৌজা ও পরিবারকে অন্তর্ভূক্ত করে ‘সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন’ শীর্ষক পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প গ্রহণ করা হয় এবং এর মেয়াদকাল ছিল ১৯৮৫ হতে ১৯৯৫ সাল। বর্ণিত মেয়াদে প্রকল্প কার্যক্রম বাস্তবায়নের নিম্নতম ইউনিট ছিল মৌজাভিত্তিক কমিউনিটি সেন্টার এবং একেকটি মৌজায় গড়ে ১২টি পাড়া বিদ্যমান। মৌজাভিত্তিক ব্যবস্থার মাধ্যমে ভৌগোলিক কারণে দুর্গম ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পাড়াসমূহে বিক্ষিপ্তভাবে বসবাসকারী সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের শিশু ও নারীদের প্রত্যাশিত পরিমাণে সেবাপ্রবাহের নেটওয়ার্কভূক্তিতে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ উত্তরণে উক্ত প্রকল্পের ২য় পর্যায়ে (১৯৯৬-২০১১) কৌশলগত পরিবর্তন সাধন এবং পাড়াকেন্দ্র নেটওয়ার্কের প্রবর্তন করা হয়। ‘সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্প’র ৩য় পর্যায় (২০১২-২০১৮) এবং চলমান ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্প’ (২০১৮-২০২৩) উভয়তেই উক্ত পাড়াকেন্দ্রভিত্তিক সেবা প্রদান ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা হয়। পূর্ববর্তী প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় এসডিজির আলোকে বর্তমান প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে এবং এতে প্রারম্ভিক শৈশব উন্নয়ন ও বিদ্যালয় প্রস্তুতিমূলক শিক্ষা, আবাসিক ব্যবস্থাপনায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান, প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, নিরাপদ পানি ও পয়ঃব্যবস্থা উন্নয়ন, পুষ্টি উন্নয়ন, শিশু সুরক্ষা সেবা প্রদান ও অন্যান্য গুরত্বপূর্ণ সামাজিক ইস্যুসমূহে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মসূচী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এখন প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৮০০ পাড়াকেন্দ্রে আড়াই লক্ষ উপকারভোগী পরিবার ও ৪টি আবাসিক বিদ্যালয়ে ১২০০ জন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ছাত্রছাত্রী সেবার আওতায় রয়েছে। |
আরও পড়ূনঃ

১ thought on “রাঙ্গামাটি জেলার বৃহৎ প্রকল্প”